- Mon Nov 09, 2020 1:46 pm#4190
পৃথিবীর জীবমন্ডল উল্লেখযোগ্যভাবে এটির বায়ুমন্ডলের পরিবর্তন সাধন করছে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উৎপাদন বিকাশ লাভ করে ২.৭ বিলিয়ন বছর আগে, গঠন করে আজকের মূল নাইট্রোজেন-অক্সিজেন বায়ুমন্ডল। এর ফলশ্রুতিতে বায়ুজীবি জীবদের বিকাশ লাভ তরান্বিত হয় এবং পরোক্ষভাবে এটি ওজন স্তর গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, এটির কারণ হলো পরবর্তীতে ঘটা বায়ুমন্ডলীয় O2 থেকে O3 তে পরিবর্তন। ওজন স্তর সৌর বিকিরণের অতিবেগুণী রশ্মিকে আটকিয়ে দিয়ে ভূমিতে প্রাণের বিকাশে সহায়তা করে। অন্যান্য বায়ুমন্ডলীয় কর্মকান্ড যা জীবন ধারণের জন্য জরুরি কার মধ্যে রয়েছে জলীয় বাষ্পের সঞ্চালন। অতিপ্রয়োজনীয় গ্যাসগুলির সরবরাহ ছোট উল্কাপিন্ড পৃথিবী পৃষ্টে আঘাত হানার পূর্ব মূহুর্তে তা পুড়িয়ে ফেলা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বশেষ কর্মকান্ডটি পরিচিত গ্রীন হাউজ প্রক্রিয়া নামে। বায়ুমন্ডলের চিহ্নিত কিছু গ্যাসীয় অনু ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ শক্তি শোষণ করে পুণরায় তা বায়ুমন্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত করে, বায়ুমন্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, এবং ওজন হলো বায়ুমন্ডলের মূল গ্রীন হাউজ গ্যাস। এই তাপ ধারণের ঘটনাটি না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত ১৮ ডিগ্রী সে. বিপরীত দিকে বর্তমান হলো +১৫ ডিগ্রী সে. এবং এটা এর বর্তমান অবস্থায় না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটত না। মে ২০১৭ সালে, কক্ষপথে থাকা একটি স্যাটেলাইট থেকে এক মিলিয়ন মাইল ধূরে হঠাৎ ক্ষণিকের জন্য একটি আলোর ঝলকানি দেখা ডৎযায়, পরে জানা যায় বায়ুমন্ডলে থাকা বরফ স্ফটিক থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এটি ঘটেছিল।
আবহাওয়া এবং জলবায়ু
আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমন্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমন্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নির্মিত পরিবর্তনশীল একটি চলক।
পৃথিবী বায়ুমন্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহি:মহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমন্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হলো ট্রাপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। যা তাপমাত্রায় পুন:বিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে।
মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০ ডিগ্রী অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০ ডিগ্রী থেকে ৬০ ডিগ্রী এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে।
আবহাওয়া এবং জলবায়ু
আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমন্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমন্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নির্মিত পরিবর্তনশীল একটি চলক।
পৃথিবী বায়ুমন্ডলের কোন সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই ধীরে ধীরে পাতলা এবং হালকা হয়ে বহি:মহাকাশের সাথে মিশে গেছে। বায়ুমন্ডলের তিন চতুর্থাংশের ভর রয়েছে এটির মোট অংশের প্রথম ১১ কিমি এর মধ্যে। এর সবচেয়ে নিচের স্তরটির নাম হলো ট্রাপোস্ফিয়ার। সূর্য থেকে আসা তাপের প্রভাবে এই স্তরটি এবং এর নিচে থাকা ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়, ফলশ্রুতিতে বাতাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এই নিম্ন ঘনত্বের বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং এটির জায়গা দখল করে ঠান্ডা, উচ্চ ঘনত্বের বাতাস। ফলে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। যা তাপমাত্রায় পুন:বিন্যাস করে আবহাওয়া ও জলবায়ুকে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালিত করে।
মূল বায়ুপ্রবাহের ধারার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অয়ন বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলের ৩০ ডিগ্রী অক্ষাংশ নিচে এবং পশ্চিমা বায়ু মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর ৩০ ডিগ্রী থেকে ৬০ ডিগ্রী এর মধ্যে। মহাসাগরীয় স্রোত জলবায়ু নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, থার্মোহ্যালাইন প্রবাহ যা তাপ শক্তিকে বিতরণ করে নিরক্ষীয় সমুদ্র অঞ্চল থেকে ঠান্ডা মেরু অঞ্চলে।