Get on Google Play

বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলদেশ ও বিশ্ব, দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি
#4174
জলমন্ডল
পৃথিবী পৃষ্ঠে পানির প্রাচুর্য হলো সেই অনন্য বৈশিষ্ট্য যা সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ থেকে এই নীল গ্রহটিকে পৃথক করেছে। পৃথিবীর জলমন্ডলের মধ্যে বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত মহাসাগরগুলো, কিন্তু যৌক্তিকভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠের সকল পানি জলমন্ডলের অন্তর্ভুক্ত, এটির মধ্যে রয়েছে ভূমির ভেতর দিকে থাকা সমুদ্র, লেক, নদী এবং এমনকি মাটির নিচের ২,০০০ মিটার নিচে থাকা পানিও এটার অন্তর্ভুক্ত। পৃষ্ঠতলের নিচে থাকা পানির সবচেয়ে গভীরতমটি হল প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা মারিয়ানা থাতের চ্যালেঞ্জার ডিপ যার গভীরতা হল ১০,৯১১.৪ মিটার।
মহাসাগরগুলোর আনুমানিক ভর হলো প্রায় ১.৩৫x১০^১৮ মেট্রিক টন যা মোটামুটি পৃথিবীর মোট ভরের ১/৪৪০০ অংশ। মহাসাগরগুলোর মোট পৃষ্ঠ এর ক্ষেত্রফল হলো ৩.৬১৮x১০^৮ কি.মি ² আর গড় গভীরতা হল ৩৬৮২ মিটার, ফলাফিল হিসেবে এটির আয়তন হল ১.৩৩২x১০^৯ কি.মি³ । যদি পৃথিবীর সমুদ্র উপকূলের পৃষ্ঠের উচ্চতা সব জায়গায় সমান হত মসৃন উপগোলকের মত, তাহলে পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গভীরতা হত ২.৭ থেকে ২.৮ কি.মি।
পৃথিবীর মোট পানির প্রায় ৯৭.৫% হল লবণাক্ত, আর বাদবাকি ২.৫% হল মিঠা পানি। বেশিরভাগ মিঠা, পানি প্রায় ৬৮.৭% উপস্থিত রয়েছে বরফ হিসেবে আইস ক্যাপে এবং হিমবাহ রূপে।
পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর গড় লবণাক্ততা হল প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ প্রতি কিলোগ্রাম লবণাক্ত পানিতে। এই লবণের বেশিরভাগ পানিতে সংযুক্ত হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার ফলে বা নির্গত হয়েছে ঠান্ডা আগ্ন্যেয় শীলা থেকে। মহাসাগরগুলি দ্রবীভূত বায়ুমন্ডলীয় গ্যাসগুলোর একটি আধারও বটে, যেগুলো অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন জলজ জীবন ধারণের জন্য। সাগরের পানি বিশ্বের জলবায়ুর ওপর প্রভাব রাখে। যেখানে এটি কাজ করে একটি বৃহৎ তাপীয় আধার হিসেবে। মহাসাগরের তাপমাত্রার বন্টনের ক্ষেত্রে যে কোন পরিবর্তন করতে পারে, উদাহরণস্বরূপ এল নিনো।

বায়ুমন্ডল
বায়ুমন্ডল গ্যাসের একটি আস্তরণ যা পর্যাপ্ত ভরসম্পন্ন কোন বস্তুর চারদিকে ঘিরে জড়ো হয়ে থাকতে পারে। বস্তুটির অভিকর্ষনের কারণে এই গ্যাসপুঞ্জ তার চারদিকে আবদ্ধ থাকে। বস্তুর অভিকর্ষ যদি যথেষ্ট বেশি হয় এবং বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা যদি কম হয় তাহলে এই মন্ডল অনেকদিন টিকে থাকতে পারে। গ্রহসমূহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জড়ো দেখা যায়। এ কারণে গ্রহের বায়ুমন্ডল সাধারণত অপেক্ষাকৃত ঘন এবং গভীর হয়। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে একে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল বা আবহাওয়ামন্ডল বলে। এই বায়ুমন্ডল সূর্য থেকে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এছাড়াও তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত রাখে এবং দিনের তুলনায় রাতে তাপমাত্রা হ্রাস রোধ করে।
৮.৫ কি.মি উচ্চতা স্কেলযুক্ত বায়ুমন্ডল পৃথিবী পৃষ্ঠে গড় বায়ুমন্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করছে ১০১.৩২৫ কিলো প্যাসকেল। এটা গঠিত হয়েছে ৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২১% অক্সিজেন দ্বারা এর সাথে সামান্য পরিমাণে রয়েছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান। ট্রাপোষ্ফিয়ারের উচ্চতার পরিবর্তন হয় অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে, যার মান হতে পারে মেরু অংশে ৮ কি.মি ও নিরক্ষরেখার ক্ষেত্রে ১৭ কি.মি। তবে এই মানের কিছু বিচ্যুতি হয়ে থাকে আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    1765 Views
    by shahan
    0 Replies 
    1921 Views
    by kajol
    0 Replies 
    1941 Views
    by romen
    0 Replies 
    1098 Views
    by tumpa
    0 Replies 
    1210 Views
    by shahan

    • গ্রিন বুক গ্রন্থের লেখক কে : মুয়াম্মার গাদ[…]

    • উত্তর আমেরিকা কোন গোলার্ধে অবস্থিত : পশ্চিম[…]

    • উত্তর আমেরিকা কোন গোলার্ধে অবস্থিত : পশ্চিম[…]

    • আয়তনে এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশ : মালদ্বীপ &bu[…]