Get on Google Play

বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলদেশ ও বিশ্ব, দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি
#4168
সমুদ্রতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের বেশি উঁচু সুবিস্তত ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট শিলাস্তূপকে পর্বত বলে। সাধারণত ৬০০ থেকে ১০০০ মি. উঁচু স্বল্প সুবিস্তত শিলাস্তুপকে পাহাড় বলে। পর্বতের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত বিস্তত হতে পারে। পর্বতের ভূপ্রকৃতি সাধারণত বন্ধুর প্রকৃতির হয়ে থাকে, এগুলোর ঢাল খুব খাড়া এবং সাধারণত চূড়াবিশিষ্ট হয়ে থাকে। পূর্ব আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারের মত কিছু পর্বত বিছিন্নভাবে অবস্থান করে। আবার হিমালয় পর্বতমালার মত কিছু পর্বত অনেকগুলো পৃথক শৃঙ্গসহ ব্যাপক এলাকা জুড়ে অবস্থান করে।
পর্বতের থেকে উঁচু কিন্তু সমভূমি থেকে উঁচু খাড়া ঢালযুক্ত খেলানো বিস্তীর্ন সমতলভূমি কে মালভূমি বলে। মালভূমির উচ্চতা শত মিটার থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে। পৃথিবীর বৃহত্তম উচ্চতা ৪,২৭০ থেকে ৫,১৯০ মিটার।
সমুদ্রতল থেকে অল্প উঁচু মৃদু ঢালবিশিষ্ট সুবিস্তত ভূমিকে সমভূমি বলে। বিভিন্ন ভূপ্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেমন: নদী, হিমবাহ, ও বায়ুর ক্ষয় ও সঞ্চয় ক্রিয়ার ফলে সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে। মৃদু ঢাল ও স্বল্প কন্ধুরতার জন্য সমভূমি কৃষিকাজ, বসবাস, রাস্তাঘাট, নির্মাণের জন্য খুবিই উপযোগী। তাই সমভূমিতে সবচেয়ে বেশি ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছে।
পৃথিবীর মোট পৃষ্ঠতলের আকার হল প্রায় ৫১০ মিলিয়ন বর্গ কি.মি। যার মধ্যে ৭০.৮% বা ৩৬১.১৩ মিলিয়ন বর্গকি.মি, হল সমুদ্র পৃষ্ঠতলের নিচে ও এই অংশ সমুদ্রের পানি দ্বারা অচ্ছাদিত। সমুদ্রপৃষ্ঠতলের নিচেই রয়েছে অধিকাংশ মহীসোপান, পর্বতমালা, অগ্নেয়গিরি, সামুদ্রিক খাত, ডুবো গিরিখাত, সামুদ্রিক মালভূমি, গভীর সামুদ্রিক সমতল, এবং সারা পৃথিবীব্যাপী বিসৃত মধ্য-সমুদ্র রিগ সিস্টেম। আর বাকি ২৯.২% অংশ বা ১৪৮.৯৪ বর্গকি.মি যা পানি দ্বারা আচ্ছাদিত নয় ভূখন্ডটি স্থানে স্থানে পরিবর্তিত এবং এতে রয়েছে পর্বত, মরুভূমি, সমতল, মালভূমি ও অন্যান্য ভূমিরূপ। অপসারণ ও অবক্ষেপণ বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যৎপাত, বন্য, মৃত্তিকা আবহবিকার হিমবাহ ক্ষয়ীভবন, প্রবলপ্রাচীর বৃদ্ধি এবং উল্কাপিন্ডের আঘাত ইত্যাদি হল সেই ক্রিয়াশীল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের আকার পরিবর্তন ঘটেছে ভূতাত্বিত সময় যাওয়ার সাথে সাথে।
মহাদেশীয় ভূত্বকে কম ঘনত্বের উপাদান পাওয়া যায়, আগ্নেয় মিলা যেমন: গ্রানাইট ও অ্যান্ডেসাইট। সবচেয়ে কম পাওয়া যায় ব্যাসল্ট, যা হলো অধিক ঘনত্বের আগ্নেয় শিলা, এটি হল মহাসাগরীঅয় ভূত্বক গঠনের মূল উপাদান। পাললিক শিলা গঠনের ক্ষেত্রে পলি ক্রমান্বয়ে সঞ্চিত হয়ে এক সময় অন্য শিলার চাপে দেবে যায় এবং এরপর এক সাথে জমাট বেধে যায়। মহাদেশীয় ভূত্বকের প্রায় ৭৫% পাললিক শিলা দ্বারা অচ্ছাদিত। যদিও তা পৃথিবীর ভূত্বকের মাত্র ৫% অংশ। আর পৃথিবীতে পাওয়া যাওয়া তৃতীয় ধরনের শিলা হলো রূপান্তরিত শিলা। পৃথিবীর অজস্র পরিমাণে পাওয়া যাওয়া যে সকল সিলিকেট খনিজ সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কোয়ার্জ, ফেল্ডস্পার, অ্যাস্ফিবোল, মাইকা, পাইরক্সিন, এবং অলিভিন।
পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা পরিবর্তিত হতে পারে সর্বনিম্ন ৪১৮ মিটার যার অবস্থান মৃত সাগর এবং সর্বোচ্চ উচ্চতা হতে পারে ৮,৮৪৮ মিটার হিমালয় পর্বতের চূড়ায়। সমুদ্র পৃষ্টতলের উপরে পৃথিবীর উচ্চতা ৮৪০ মিটার।
প্যাপোস্ফিয়ার হলো মহাদেশীয় পৃষ্ঠের বাইরের সর্বোচ্চ স্তর এবং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত মাটি ও মাটির গঠন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়। মোট ভূপৃষ্ঠের ১০.৯% হল আবাদী জায়গা এর মধ্যে ১.৩% হলো স্থায়ী শস্য।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    3956 Views
    by tumpa
    0 Replies 
    6127 Views
    by tumpa
    0 Replies 
    2619 Views
    by shahan
    0 Replies 
    3147 Views
    by kajol
    0 Replies 
    2669 Views
    by romen

    প্রসারিত-- সংকুচিত প্রকাশ্য-- গোপনীয়/অপ্রকাশ্য/প্[…]

    প্রতিকূল-- অনুকূল প্রকাশ্যে-- নেপথ্যে প্রায়শ-- কদ[…]

    নামা-- ওঠা নিশ্চয়তা-- অনিশ্চয়তা নিন্দুক/নিন্দক--[…]

    নাবালক-- সাবালক নীরস-- সরস নিন্দা-- প্রশংসা নিরবকা[…]