- Fri Nov 06, 2020 11:13 am#4139
অভ্যন্তরীণ কাঠামো
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কাঠামো অন্যান্য বহুজাতিক গ্রহের মতো বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত, স্তরগুলোর গঠন এগুলোর রাসায়নিক ও ভৌত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে বাইরের স্তরটি রাসায়নিকভাবে স্বতন্ত্র নিরেট সিলিকেট ভূত্বক, যার নিচে রয়েছে অধিক সান্দ্রতা সম্পন্ন নিরেট ম্যান্টেল বা গুরুমন্ডল। ভূত্বকটি গুরুমন্ডল থেকে পৃথক রয়েছে মোহোরোভিচিক বিচ্ছিন্নতা অংশ দ্বারা। ভূত্বকের পুরুত্ব মহাসাগরে নিচে প্রায় ৬ কিলোমিটার এবং মহাদেশের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়ে থাকে। ভূত্বক এবং এর সাথে ঠান্ডা, দৃঢ় উপরের দিকের উর্ধ্ব গুরুমন্ডলকে একসাথে বলা হয়ে থাকে। লিথোস্ফিয়ার এবং লিথোস্ফিয়ার সেই অংশ যেখানে টেকনিক প্লেটগুলো সংকুচিত অবস্থায় থাকে। লিথোষ্ফিয়ার এর পরের স্তরটি হলো অ্যান্থেনোস্ফিয়ার, এটা এর উপরের স্তর থেকে কম সান্দ্রতা সম্পন্ন, এবং এর উপরে অবস্থান করে লিথোস্ফিয়ার নড়াচড়া করতে পারে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪১০ কি.মি থেকে ৬৬০ কিমি গভীরতার মধ্যে গুরুমন্ডলের ক্রিস্টাল কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যায় এখানে রূপান্তর অঝ্চলের একটি বিস্তরে পাওয়া যায় যা উর্ধ্ব গুরুমন্ডল এবং নিম্নগুরুমন্ডল গুরুমন্ডলকে পৃথক করে। গুরুমন্ডলের নিচে, অত্যন্ত সান্দ্রতা পূর্ন একটি তরল বহি: ভূকেন্দ্র থাকে যা একটি নিরেট অন্ত: ভূকেন্দ্রের উপরে অবস্থান করে। পৃথিবীর অন্ত: ভূকেন্দ্রের ঘূর্ণনের কৌণিক বেগ বাদবাকি ভূখন্ডের তুলনায় সামন্য বেশি হতে পারে, এটি প্রতি বছর ০.১-০.৫॰ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অন্ত: ভূকেন্দ্রের পরিধি পৃথিবীর পরিধির তুলনায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ হয়ে থাকে।
পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক স্তরসমূহ
গভীরতা (কি.মি) – স্তরগুলোর নাম – ঘনত্ব (গ্রাম/সেমি³)
০-৬০ – লিথোস্ফিয়ার –
০-৩৫ – ভূত্বক – ২.২-২.৯
৩৫-৬০ – উর্ধ্ব গুরুমন্ডল – ৩.৪ – ৪.৪
৩৫-২৮৯০ – গুরুমন্ডল – ৩.৪ – ৫.৬
১০০-৭০০ – অ্যান্থোনোস্ফিয়ার –
২৮৯০-৫১০০ – বহি: ভূকেন্দ্র – ৯.৯-১২.২
৫১০০ – ৬৩৭৮ – অন্ত: ভূকেন্দ্র – ১২.৮-১৩.১
বাহ্যিক গঠন
পৃথিবীর উৎপত্তির সময় এটি ছিল একটি উত্তপ্ত গ্যাসের পিন্ড। উত্তপ্ত অবস্থা থেকে এটি শীতল ও ঘনীভূত হয়। এ সময় ভারী উপাদানগুলোর এটির কেন্দ্রের দিকে জমা হয় আর হালকা উপাদানগুলোর ভরের তারতম্য অনুসারে নিচ থেকে উপরে স্তরে স্তরে জমা হয়। পৃথিবীর এ সকল স্তর এক একটি মন্ডল নামে পরিচিত। সবচেয়ে উপরে রয়েছে অশ্মমন্ডল স্তর। অশ্মমন্ডলের উপরের অংশকে ভূত্বক বলে। ভূত্বকের নিচের দিকে প্রতি কিমি বৃদ্ধিতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ভূত্বকের উপরের ভাগে বাহ্যিক অবয়বগুলো যেমন: পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, ইত্যাদি থেকে থাকে। পৃথিবীর বাহ্যিক গঠন পৃথিবীর উপরিভাগের বৈচিত্রময় ভূমিরূপসমূহ নিয়ে সজ্জিত। পৃথিবীর প্রধান ভূমিরূপগুলো ভূপৃষ্ঠে সর্বত্র সমান নয়। আকৃতি প্রকৃতি এবং গঠনগত দিক থেকে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। ভূপৃষ্ঠের কোথাও পর্বত, কোথাও পাহাড়, কোথাও মালভূমি। ভৌগোলিক দিক থেকে বিচার করলে পৃথিবীর সমগ্র ভূমিরূপকে ৩ টি ভাগে ভাগ করা যায়।
এগুলো হলো: ১.পর্বত, ২.মালভূমি এবং ৩.সমভূমি।
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কাঠামো অন্যান্য বহুজাতিক গ্রহের মতো বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত, স্তরগুলোর গঠন এগুলোর রাসায়নিক ও ভৌত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে বাইরের স্তরটি রাসায়নিকভাবে স্বতন্ত্র নিরেট সিলিকেট ভূত্বক, যার নিচে রয়েছে অধিক সান্দ্রতা সম্পন্ন নিরেট ম্যান্টেল বা গুরুমন্ডল। ভূত্বকটি গুরুমন্ডল থেকে পৃথক রয়েছে মোহোরোভিচিক বিচ্ছিন্নতা অংশ দ্বারা। ভূত্বকের পুরুত্ব মহাসাগরে নিচে প্রায় ৬ কিলোমিটার এবং মহাদেশের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়ে থাকে। ভূত্বক এবং এর সাথে ঠান্ডা, দৃঢ় উপরের দিকের উর্ধ্ব গুরুমন্ডলকে একসাথে বলা হয়ে থাকে। লিথোস্ফিয়ার এবং লিথোস্ফিয়ার সেই অংশ যেখানে টেকনিক প্লেটগুলো সংকুচিত অবস্থায় থাকে। লিথোষ্ফিয়ার এর পরের স্তরটি হলো অ্যান্থেনোস্ফিয়ার, এটা এর উপরের স্তর থেকে কম সান্দ্রতা সম্পন্ন, এবং এর উপরে অবস্থান করে লিথোস্ফিয়ার নড়াচড়া করতে পারে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪১০ কি.মি থেকে ৬৬০ কিমি গভীরতার মধ্যে গুরুমন্ডলের ক্রিস্টাল কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যায় এখানে রূপান্তর অঝ্চলের একটি বিস্তরে পাওয়া যায় যা উর্ধ্ব গুরুমন্ডল এবং নিম্নগুরুমন্ডল গুরুমন্ডলকে পৃথক করে। গুরুমন্ডলের নিচে, অত্যন্ত সান্দ্রতা পূর্ন একটি তরল বহি: ভূকেন্দ্র থাকে যা একটি নিরেট অন্ত: ভূকেন্দ্রের উপরে অবস্থান করে। পৃথিবীর অন্ত: ভূকেন্দ্রের ঘূর্ণনের কৌণিক বেগ বাদবাকি ভূখন্ডের তুলনায় সামন্য বেশি হতে পারে, এটি প্রতি বছর ০.১-০.৫॰ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অন্ত: ভূকেন্দ্রের পরিধি পৃথিবীর পরিধির তুলনায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ হয়ে থাকে।
পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক স্তরসমূহ
গভীরতা (কি.মি) – স্তরগুলোর নাম – ঘনত্ব (গ্রাম/সেমি³)
০-৬০ – লিথোস্ফিয়ার –
০-৩৫ – ভূত্বক – ২.২-২.৯
৩৫-৬০ – উর্ধ্ব গুরুমন্ডল – ৩.৪ – ৪.৪
৩৫-২৮৯০ – গুরুমন্ডল – ৩.৪ – ৫.৬
১০০-৭০০ – অ্যান্থোনোস্ফিয়ার –
২৮৯০-৫১০০ – বহি: ভূকেন্দ্র – ৯.৯-১২.২
৫১০০ – ৬৩৭৮ – অন্ত: ভূকেন্দ্র – ১২.৮-১৩.১
বাহ্যিক গঠন
পৃথিবীর উৎপত্তির সময় এটি ছিল একটি উত্তপ্ত গ্যাসের পিন্ড। উত্তপ্ত অবস্থা থেকে এটি শীতল ও ঘনীভূত হয়। এ সময় ভারী উপাদানগুলোর এটির কেন্দ্রের দিকে জমা হয় আর হালকা উপাদানগুলোর ভরের তারতম্য অনুসারে নিচ থেকে উপরে স্তরে স্তরে জমা হয়। পৃথিবীর এ সকল স্তর এক একটি মন্ডল নামে পরিচিত। সবচেয়ে উপরে রয়েছে অশ্মমন্ডল স্তর। অশ্মমন্ডলের উপরের অংশকে ভূত্বক বলে। ভূত্বকের নিচের দিকে প্রতি কিমি বৃদ্ধিতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ভূত্বকের উপরের ভাগে বাহ্যিক অবয়বগুলো যেমন: পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, ইত্যাদি থেকে থাকে। পৃথিবীর বাহ্যিক গঠন পৃথিবীর উপরিভাগের বৈচিত্রময় ভূমিরূপসমূহ নিয়ে সজ্জিত। পৃথিবীর প্রধান ভূমিরূপগুলো ভূপৃষ্ঠে সর্বত্র সমান নয়। আকৃতি প্রকৃতি এবং গঠনগত দিক থেকে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। ভূপৃষ্ঠের কোথাও পর্বত, কোথাও পাহাড়, কোথাও মালভূমি। ভৌগোলিক দিক থেকে বিচার করলে পৃথিবীর সমগ্র ভূমিরূপকে ৩ টি ভাগে ভাগ করা যায়।
এগুলো হলো: ১.পর্বত, ২.মালভূমি এবং ৩.সমভূমি।