- Thu Nov 05, 2020 11:51 am#4121
আকৃতি
পৃথিবী দেখতে পুরোপুরি গোলকার নয়, বরং কমলালেবুর মত উপর ও নিচের দিকটা কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ স্ফীত। এ ধরণের স্ফীতি তৈরি হয়েছে নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে এটির ঘূর্ণনের কারনে। একই কারণে বিষুব অঞ্চলের ব্যাস মেরু অঞ্চলের ব্যাসের তুলনায় প্রায় ৪৩ কি.মি বেশি।
পৃথিবীর আকৃতি অনেকটাই কমলার উপগোলকের মতো। ঘূর্ণনের ফলে, পৃথিবীর ভৌগোলিক অক্ষ বরাবর এটি চ্যাপ্টা এবং নিরক্ষরেখা বরাবর এটি স্ফীত। নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর ব্যাস মেরু থেকে মেরুর ব্যাসের তুলনায় ৪৩ কিলোমিটার বৃহৎ। তাই পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর পৃথিবীর ভরকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বটি হল নিরক্ষরেখার উপর অবস্থিত চিম্বরাজো আগ্নেয়গিরির সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি। আদর্শ মাপের উপগোলকের গড় ব্যাস হলো ১২,৭৪২ কিলোমিটার। স্থানীয় ভূসংস্থানে ব্যাসের মান হল মাত্র ০.১৭% যা পাওয়া যায় মারিয়ানা খাতে, আর অপর দিকে মাউন্ট এভারেস্টে বিচ্যুতির মান ০.১৪%। জিওডেসি প্রকাশ করে যে, পৃথিবীতে সমুদ্র তার প্রকৃত আকার ধারণ করবে যদি ভূমি ও অন্যান্য চাঞ্চলতার যেমন ঢেউ ও বাতাস না থাকে, আর একে সংজ্ঞায়িত করা হয় জিওই্ড দ্বারা। আরো স্পষ্ট ভাবে, জিওইডের পরিমাণ হবে গড় সমুদ্র পৃষ্ঠতলের উচ্চতায় অভিকর্ষীয় মানের সমান।
রাসায়নিক গঠন
ভূত্বকের রাসায়নিক গঠন
য়ৌগসমূহ – রাসায়নিক সংকেত – গঠন (মহাদেশীয় – মহাসাগরীয়)
সিলিকা –SiO2 - ৬০.২% - ৪৮.৬%
অ্যালুমিনা –Ai2O3 - ১৫.২% - ১৬.৫%
লাইম – CaO - ৫.৫% - ১২.৩%
ম্যাগনেসিয়া –MgO - ৩.১% - ৬.৮%
আয়রন অক্সাইড – FeO -৩.৮% - ৬.২%
সোডিয়াম অক্সাইড –Na2O - ৩.০% - ২.৬%
পটাসিয়াম অক্সাইড –K2O - ২.৮% - ০.৪%
আয়রন অক্সাইড -Fe2O3 -২.৫% - ২.৩%
পানি –H2O ১.৪% - ১.১%
কার্বন ডাই অক্সাইড –CO2 - ১.২% - ১.৪%
টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইড – TiO2 -০.৭% - ১.৪%
ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড –P2O5 - ০.২% - ০.৩%
মোট – ৯৯.৬% - ৯৯.৯%
পৃথিবীর ভর হলো প্রায় ৫.৯৭x১০^২৪ কিলোগ্রাম। এটি গঠিত যে সকল উপাদান দিয়ে তার মধ্যে সবচাইতে বেশি হল লোহা, অক্সিজেন, সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, নিকেল, ক্যালসিয়াম, এবং অ্যালুমিনিয়াম, এছাড়া বাকি ১.২% এর মধ্যে রয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি। ভরের পৃথকীকরণ ঘটার ফলে অনুমান করা হয় পৃথিবীর কেন্দ্র অঞ্চলটি প্রধাণত গঠিত লোহা দ্বারা এর সাথে অল্প পরিমাণ রয়েছে নিকেল, সালফার, এবং এছাড়া অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে ১% এরও কম।
সাধারণত পৃথিবীর ভূত্বকের শিলাগুলোর ইপাদানসমূহের সবগুলোই হয়ে থাকে অক্সাইড ধরনের। তবে এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যতিক্রম হল ক্লোরিন, সালফার, এবং ফ্লোরিনের উপস্থিতি এবং সাধারণত কোন শিলার এগুলোর পরিমাণ হয়ে থাকে মোট পরিমাণের ১% এরও কম। মোট ভূত্বকের ৯৯% গঠিত হয়ে থাকে ১১ ধরনের অক্সাইড দ্বারা। যার মধ্যে উপাদানগুলো হল সিলিকা, অ্যালুমিনা, আয়রন অক্সাইড, লাইম, ম্যাগনেসিয়া, পটাশ এবং সোডা।
পৃথিবী দেখতে পুরোপুরি গোলকার নয়, বরং কমলালেবুর মত উপর ও নিচের দিকটা কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ স্ফীত। এ ধরণের স্ফীতি তৈরি হয়েছে নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে এটির ঘূর্ণনের কারনে। একই কারণে বিষুব অঞ্চলের ব্যাস মেরু অঞ্চলের ব্যাসের তুলনায় প্রায় ৪৩ কি.মি বেশি।
পৃথিবীর আকৃতি অনেকটাই কমলার উপগোলকের মতো। ঘূর্ণনের ফলে, পৃথিবীর ভৌগোলিক অক্ষ বরাবর এটি চ্যাপ্টা এবং নিরক্ষরেখা বরাবর এটি স্ফীত। নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর ব্যাস মেরু থেকে মেরুর ব্যাসের তুলনায় ৪৩ কিলোমিটার বৃহৎ। তাই পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর পৃথিবীর ভরকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বটি হল নিরক্ষরেখার উপর অবস্থিত চিম্বরাজো আগ্নেয়গিরির সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি। আদর্শ মাপের উপগোলকের গড় ব্যাস হলো ১২,৭৪২ কিলোমিটার। স্থানীয় ভূসংস্থানে ব্যাসের মান হল মাত্র ০.১৭% যা পাওয়া যায় মারিয়ানা খাতে, আর অপর দিকে মাউন্ট এভারেস্টে বিচ্যুতির মান ০.১৪%। জিওডেসি প্রকাশ করে যে, পৃথিবীতে সমুদ্র তার প্রকৃত আকার ধারণ করবে যদি ভূমি ও অন্যান্য চাঞ্চলতার যেমন ঢেউ ও বাতাস না থাকে, আর একে সংজ্ঞায়িত করা হয় জিওই্ড দ্বারা। আরো স্পষ্ট ভাবে, জিওইডের পরিমাণ হবে গড় সমুদ্র পৃষ্ঠতলের উচ্চতায় অভিকর্ষীয় মানের সমান।
রাসায়নিক গঠন
ভূত্বকের রাসায়নিক গঠন
য়ৌগসমূহ – রাসায়নিক সংকেত – গঠন (মহাদেশীয় – মহাসাগরীয়)
সিলিকা –SiO2 - ৬০.২% - ৪৮.৬%
অ্যালুমিনা –Ai2O3 - ১৫.২% - ১৬.৫%
লাইম – CaO - ৫.৫% - ১২.৩%
ম্যাগনেসিয়া –MgO - ৩.১% - ৬.৮%
আয়রন অক্সাইড – FeO -৩.৮% - ৬.২%
সোডিয়াম অক্সাইড –Na2O - ৩.০% - ২.৬%
পটাসিয়াম অক্সাইড –K2O - ২.৮% - ০.৪%
আয়রন অক্সাইড -Fe2O3 -২.৫% - ২.৩%
পানি –H2O ১.৪% - ১.১%
কার্বন ডাই অক্সাইড –CO2 - ১.২% - ১.৪%
টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইড – TiO2 -০.৭% - ১.৪%
ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড –P2O5 - ০.২% - ০.৩%
মোট – ৯৯.৬% - ৯৯.৯%
পৃথিবীর ভর হলো প্রায় ৫.৯৭x১০^২৪ কিলোগ্রাম। এটি গঠিত যে সকল উপাদান দিয়ে তার মধ্যে সবচাইতে বেশি হল লোহা, অক্সিজেন, সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, নিকেল, ক্যালসিয়াম, এবং অ্যালুমিনিয়াম, এছাড়া বাকি ১.২% এর মধ্যে রয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি। ভরের পৃথকীকরণ ঘটার ফলে অনুমান করা হয় পৃথিবীর কেন্দ্র অঞ্চলটি প্রধাণত গঠিত লোহা দ্বারা এর সাথে অল্প পরিমাণ রয়েছে নিকেল, সালফার, এবং এছাড়া অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে ১% এরও কম।
সাধারণত পৃথিবীর ভূত্বকের শিলাগুলোর ইপাদানসমূহের সবগুলোই হয়ে থাকে অক্সাইড ধরনের। তবে এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যতিক্রম হল ক্লোরিন, সালফার, এবং ফ্লোরিনের উপস্থিতি এবং সাধারণত কোন শিলার এগুলোর পরিমাণ হয়ে থাকে মোট পরিমাণের ১% এরও কম। মোট ভূত্বকের ৯৯% গঠিত হয়ে থাকে ১১ ধরনের অক্সাইড দ্বারা। যার মধ্যে উপাদানগুলো হল সিলিকা, অ্যালুমিনা, আয়রন অক্সাইড, লাইম, ম্যাগনেসিয়া, পটাশ এবং সোডা।