Get on Google Play

বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলদেশ ও বিশ্ব, দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি
#3449
১৯৩৭ সালের নির্বাচনে অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইসভার ৬০টি আসন কংগ্রেস , ৫৯ টি আসন মুসলিম লীগ এবং ৫৫টি আসন কৃষক প্রজা পার্টি লাভ করে । কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় । সংবিধান অনুযায়ী গভর্নর বঙ্গীয় আইনসভার কংগ্রেস সংসদীয় দলের ও নেতা শরৎ বসুকে মন্ত্রিসভা গঠনের আহবান জানান । শরৎবসু ’কোয়ালিশন’ মন্ত্রিসভা গঠনে অনীহা প্রকাশ করলে কৃষক প্রজা পার্টি নেতা শেরেবাংলা একে ফজলুল হক আবারও কংগ্রেসের সঙ্গে ’কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা’ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন । কিন্তু কংগ্রেসের সংকীর্ণ ,অনুদার ও অদূরদর্শী নেতাদের অনীহার কারণে শেরেবাংলার এ উদ্যোগ সফল হয়নি । কংগ্রেসের নেতারা শেরেবাংলার জাতীয়তাবাদী ও উদার মানসিকতাকে পছন্দ করলেও তার জমিদারি প্রথা অবসানের দাবি মেনে নিতে পারেনি। কেননা মুসলীম লীগের মতোই কংগ্রেসও জমিদারি প্রথা বিলুপ্তকরণের বিরোধী ছিল । এরই সুযোগ গ্রহণ করে মুসলিম লীগ । মুসলীগ লীগ শেরেবাংলার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব করে । শেরেবাংলা একে ফজলুল হক ও তাঁর কৃষক প্রজা পার্টি এ প্রস্তাব গ্রহণ করেন। শেরেবাংলা একে ফজলুল হকেরেএ কোয়ালিশন মন্ত্রিসভায় ১১ সদস্যের মধ্যে ৬ জন ছিলেন মুসলমান এবং ৫ জন ছিলেন হিন্দু। ফজলুল হক মন্ত্রিসভা বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের জন্য ১৯৩৮ সালে ’ক্লাউড কমিশন’ গঠন করে একই সালে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের সংশোধন করে জমিদারদের ক্ষমতা হ্রাস এবং কৃষক প্রজাদের অধিকার সম্প্রসারণের চেষ্টা করে। ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় চাষি ’খাতক আইন’ পাস করা হয় । এর ফলে ঋতগ্রস্ত কৃষকরা ঋতভার লাঘবের সুযোগ পান। এ আইনের আলোকে অবিভক্ত বাংলার সর্বত্র ঋত সালিশি বোর্ড গঠিত হয়। ১৯৩৯ সালে কঙ্গীয় চাকরি নিয়োগ বিধি প্রণীত হয়। এতে মুসলমানদের জন্য শতকরা ৫০ ভাগ চাকরি নির্দিষ্ট রাখার ব্যবস্থা করা হয় । নবাব সিরাজউদ্দৌলা কর্তৃক ইংরেজ বন্দি নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যে ’হলওয়েল মনুমেন্ট’ নির্মাণ করেছিল, ফজলুল হক মন্ত্রিসভা তা অপসারেণ করে দেশবাসীর অকুণ্ঠ ভালোবাসা লাভ করতে সক্ষম হয় ।
ফজলুল হক মন্ত্রিসভা ছিল দুর্বল । মুসলিম লীগ এ সময় শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের ওপর নানাবিধ চাপ প্রয়োগ করে। মুসলিম লীগের চাপের মুখে তিনি সামসুদ্দিন আহমদকে বাদ দিয়ে জমিদার মোশারফ হোসেনকে মন্ত্রিসভায় গ্রহণ করলে তাঁর নিজ দলেই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয় । তিনি তাঁর দলের বিক্ষুব্ধ ১৭ সদস্যকে বহিষ্কার করেন । ফলে প্রাদেশিক আইনসভায় মুসলিম লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত হয় এবং কৃষক প্রজা পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরণত হয় । মন্ত্রিসভার স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যই শেরেবাংলা মুসলিম লীগের মতো সাম্প্রদায়িক দলে ১৯৩৭ সালের অক্টোবর মাসে যোগদান করতে বাধ্য হন। ১৯৪১ সালে মন্ত্রিসভা থেকে মুসলিম লীগ সদস্যের পদত্যাগ করার ফলে ফজলুল হক মন্ত্রিসভাও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

    বিষয় : রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আপন বিভাগের “[…]

    বিষয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্[…]

    Amendment of Vacancy announcement for the post of […]