- Thu Jun 14, 2018 4:07 pm#234
১২ জুন ২০১৮ সিঙ্গাপুরে সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেল্লা হোটেলে ট্রাম্প ও কিমের একান্ত বৈঠক ও পরে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরই উভয় দেশের নেতারা একটি যৌথ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। বিবিসি, রয়টার্স
দুই নেতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আজকে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই গর্বিত। আমরা উভয়ই কিছু করতে চাই এবং করতে যাচ্ছি।’
ট্রাম্প-কিমের যৌথ ঘোষণার চারটি মূল পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন বিবিসি-
১. দুই দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া নিজেদের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ার অঙ্গীকার করেছে।
২. কোরীয় উপদ্বীপে টেকসই এবং স্থিতিশীল শান্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া একসঙ্গে কাজ করবে।
৩. চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজোম ঘোষণা পুনর্নিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি।
৪. যুদ্ধবন্দীদের উদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই যা সনাক্ত করা হয়েছে তা অবিলম্বে পুনর্বাসনের অন্তর্ভুক্ত করাসহ উভয় দেশই পিওএম বা এমআইএ পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে।
সিঙ্গাপুর থেকে কিমের অর্জনগুলো :
*********************************
এক. পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা থেকে নিবৃত্ত করতে পারা এবং ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ আদায় করা;
দুই. বিশ্বকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের পরিবেশে ঠেলে দোয়া;
তিন. আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেকে এবং দেশকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা;
চার. কোরিয়া উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর অজুহাতকে অকার্যকর করে দোয়া;
পাঁচ. প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া ত্রয়ীর সামরিক সম্পর্ক বিকাশের বাস্তব শর্ত নষ্ট করে দেয়ার পাশাপাশি তাদের যুদ্ধের মহড়া স্থগিত রাখতে পারা; এবং
ছয়. চীনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করে নেয়া।
------------------------------------------------------
ট্রাম্পের অর্জন হলো:
**********************
প্রথমত-
দেশে-বিদেশে কদাকার ইমেজের মাঝে ‘শান্তিবাদী’ হিসেবে কিছু কূটনৈতিক সফলতা দেখাতে পারা। এই প্রথম ট্রাম্প বিশ্বে একটি ভালো খবরের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারলেন;
দ্বিতীয়ত-
যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিককে পিয়ংইংয়ের আটকাবস্থা থেকে দেশে ফেরত আনতে পারা—উত্তর কোরিয়া যাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতার অভিযোগ তুলেছিল;
তৃতীয়ত-
উত্তর কোরিয়াকে পারমানবিক কার্যক্রম থেকে আপাত নিবৃত্ত করতে পারা (কার্যত খোদ কিম রাজবংশই বহু পূর্ব থেকে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমানবিক অস্ত্রমুক্ত দেখতে চাইছিল!)।
দুই নেতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আজকে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই গর্বিত। আমরা উভয়ই কিছু করতে চাই এবং করতে যাচ্ছি।’
ট্রাম্প-কিমের যৌথ ঘোষণার চারটি মূল পয়েন্ট চিহ্নিত করেছেন বিবিসি-
১. দুই দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া নিজেদের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ার অঙ্গীকার করেছে।
২. কোরীয় উপদ্বীপে টেকসই এবং স্থিতিশীল শান্তি রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া একসঙ্গে কাজ করবে।
৩. চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজোম ঘোষণা পুনর্নিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি।
৪. যুদ্ধবন্দীদের উদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই যা সনাক্ত করা হয়েছে তা অবিলম্বে পুনর্বাসনের অন্তর্ভুক্ত করাসহ উভয় দেশই পিওএম বা এমআইএ পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে।
সিঙ্গাপুর থেকে কিমের অর্জনগুলো :
*********************************
এক. পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা থেকে নিবৃত্ত করতে পারা এবং ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ আদায় করা;
দুই. বিশ্বকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের পরিবেশে ঠেলে দোয়া;
তিন. আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেকে এবং দেশকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা;
চার. কোরিয়া উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর অজুহাতকে অকার্যকর করে দোয়া;
পাঁচ. প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া ত্রয়ীর সামরিক সম্পর্ক বিকাশের বাস্তব শর্ত নষ্ট করে দেয়ার পাশাপাশি তাদের যুদ্ধের মহড়া স্থগিত রাখতে পারা; এবং
ছয়. চীনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করে নেয়া।
------------------------------------------------------
ট্রাম্পের অর্জন হলো:
**********************
প্রথমত-
দেশে-বিদেশে কদাকার ইমেজের মাঝে ‘শান্তিবাদী’ হিসেবে কিছু কূটনৈতিক সফলতা দেখাতে পারা। এই প্রথম ট্রাম্প বিশ্বে একটি ভালো খবরের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারলেন;
দ্বিতীয়ত-
যুক্তরাষ্ট্রের তিন নাগরিককে পিয়ংইংয়ের আটকাবস্থা থেকে দেশে ফেরত আনতে পারা—উত্তর কোরিয়া যাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতার অভিযোগ তুলেছিল;
তৃতীয়ত-
উত্তর কোরিয়াকে পারমানবিক কার্যক্রম থেকে আপাত নিবৃত্ত করতে পারা (কার্যত খোদ কিম রাজবংশই বহু পূর্ব থেকে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমানবিক অস্ত্রমুক্ত দেখতে চাইছিল!)।