- Thu Sep 19, 2019 2:15 am#1717
১২ই সেপ্টেম্বর , ১৯৪২ সালে আজকের দিনে পশ্চিম আফ্রিকার উপকূল দিয়ে যাচ্ছিলো ব্রিটিশ সৈন্যবাহী জাহাজ RMS Laconia । যার মধ্যে ছিলো ২৭৩২ জন সৈনিক , নাবিক সহ ইতালীয়ান যুদ্ধবন্ধী সৈনিকেরা । জাহাজটি হঠাৎ জার্মান নৌবাহিনীর সাবমেরিন ( ইউ-১৫৬ ) দ্বারা আক্রান্ত হয় ।
.
কিন্তু আক্রমনের শিকার হওয়া ব্রিটিশ জাহাজটি দেখে ঐ সাবমেরিনের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার Werner Hartenstein এর মানবতা জেগে উঠে । জার্মান কমান্ডার “ এডমিরালটি ল ” অনুসারে তার সৈনিকদের নির্দেশ দেন ব্রিটিশ জাহাজের সকলকে উদ্ধারের জন্য
.
Werner Hartenstein তার সাবমেরিন থেকে রেডিও সিগন্যালে মানবিক আবেদন জানান আশে পাশের সকল মিত্র শক্তির সিগন্যাল গুলোতে । তার সিগন্যালে আশে পাশের সকল জার্মান সাবমেরিন গুলো জড়ো হয় সৈনিকদের উদ্ধার কাজে ।
.
সৈনিকদের যখন সাবমেরিনের ডেকে তুলে আনা হয় তখন তিনি সাবমেরিনে রেড ক্রস ব্যানার লাগিয়ে দেন । হঠাৎ মার্কিন সেনাবহিনীর একটা বি-২৪ লিবারেটর বোম্বার দ্বারা সনাক্ত হয় জার্মান ইউবোটটি । সেনাবাহিনীর পাইলট সমুদ্রে জার্মান সাবমেরিন ও বেচে যাওয়া সৈনিকদের রিপোর্ট তাদের কন্ট্রোল রুমে পাঠায় ।
.
কিন্তু সেখানে থেকে আদেশ দেয়া হয় জার্মান সাবমেরিনে আক্রমণ করার জন্য । তখনই আমেরিকান বি-২৪ এর গোলার আঘাতে প্রায় ১২জনের উপর ব্রিটিশ জাহাজের সৈনিক মারা যায় ।
.
কিন্তু জার্মান কমান্ডার Werner Hartenstein নির্দেশ দেয় সাবমেরিনকে ক্র্যাশ ডাইভ ( আক্রমনের হাত থেকে বাচতে দ্রুত পানিতে ডুব দেয়ার ম্যানুভার ) করানোর জন্য । এবং জার্মান ইউ-১৫৬ ক্র্যাশ ডাইভ দিতে সফল হয়
.
কিন্তু অন্যদিকে বি-২৪ এর পাইলট রিপোর্ট করেন তারা জার্মান সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হন । পরবর্তীতে অন্য জাহাজ দ্বারা সৈনিকদের উদ্ধার করা হয় , এই রেসকিউ অপারেশনে ১১১৩ জন বেচে ছিলো আর ১৬১৯ জনের মত মারা গিয়ে ছিলো যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলো ইতালিয়ান যুদ্ধ বন্ধী সৈনিক ।
.
পরবর্তীতে জার্মান নৌবাহিনী ঐ অফিসারের ঘটনাকে কেন্দ্রকে মিত্র পক্ষের সৈনিকদের উদ্ধারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় । অন্যদিকে আমেরিকান পাইলট ও কমান্ডারের বিপক্ষে কোন অভিযোগ ও শাস্তি না দিয়ে উল্টো তাদের সাহসিকতার জন্য পুরষ্কৃত করা হয় । তবে এই বিষয় নিয়ে নুরেমবার্গ ট্রায়েলে আমেরিকানদের লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ।
.
এই ঘটনা Laconia incident নামে পরিচিত । চাইলে গুগল করে দেখতে পারেন ….
এই ঘটনার ৬৯ বছর পর ব্রিটিশ ও জার্মানরা যৌথভাবে ২০১১ সালে The Sinking of the Laconia নামে ২ পর্বের নাটক তৈরি করেন ।
Collected
.
কিন্তু আক্রমনের শিকার হওয়া ব্রিটিশ জাহাজটি দেখে ঐ সাবমেরিনের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার Werner Hartenstein এর মানবতা জেগে উঠে । জার্মান কমান্ডার “ এডমিরালটি ল ” অনুসারে তার সৈনিকদের নির্দেশ দেন ব্রিটিশ জাহাজের সকলকে উদ্ধারের জন্য
.
Werner Hartenstein তার সাবমেরিন থেকে রেডিও সিগন্যালে মানবিক আবেদন জানান আশে পাশের সকল মিত্র শক্তির সিগন্যাল গুলোতে । তার সিগন্যালে আশে পাশের সকল জার্মান সাবমেরিন গুলো জড়ো হয় সৈনিকদের উদ্ধার কাজে ।
.
সৈনিকদের যখন সাবমেরিনের ডেকে তুলে আনা হয় তখন তিনি সাবমেরিনে রেড ক্রস ব্যানার লাগিয়ে দেন । হঠাৎ মার্কিন সেনাবহিনীর একটা বি-২৪ লিবারেটর বোম্বার দ্বারা সনাক্ত হয় জার্মান ইউবোটটি । সেনাবাহিনীর পাইলট সমুদ্রে জার্মান সাবমেরিন ও বেচে যাওয়া সৈনিকদের রিপোর্ট তাদের কন্ট্রোল রুমে পাঠায় ।
.
কিন্তু সেখানে থেকে আদেশ দেয়া হয় জার্মান সাবমেরিনে আক্রমণ করার জন্য । তখনই আমেরিকান বি-২৪ এর গোলার আঘাতে প্রায় ১২জনের উপর ব্রিটিশ জাহাজের সৈনিক মারা যায় ।
.
কিন্তু জার্মান কমান্ডার Werner Hartenstein নির্দেশ দেয় সাবমেরিনকে ক্র্যাশ ডাইভ ( আক্রমনের হাত থেকে বাচতে দ্রুত পানিতে ডুব দেয়ার ম্যানুভার ) করানোর জন্য । এবং জার্মান ইউ-১৫৬ ক্র্যাশ ডাইভ দিতে সফল হয়
.
কিন্তু অন্যদিকে বি-২৪ এর পাইলট রিপোর্ট করেন তারা জার্মান সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হন । পরবর্তীতে অন্য জাহাজ দ্বারা সৈনিকদের উদ্ধার করা হয় , এই রেসকিউ অপারেশনে ১১১৩ জন বেচে ছিলো আর ১৬১৯ জনের মত মারা গিয়ে ছিলো যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলো ইতালিয়ান যুদ্ধ বন্ধী সৈনিক ।
.
পরবর্তীতে জার্মান নৌবাহিনী ঐ অফিসারের ঘটনাকে কেন্দ্রকে মিত্র পক্ষের সৈনিকদের উদ্ধারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় । অন্যদিকে আমেরিকান পাইলট ও কমান্ডারের বিপক্ষে কোন অভিযোগ ও শাস্তি না দিয়ে উল্টো তাদের সাহসিকতার জন্য পুরষ্কৃত করা হয় । তবে এই বিষয় নিয়ে নুরেমবার্গ ট্রায়েলে আমেরিকানদের লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ।
.
এই ঘটনা Laconia incident নামে পরিচিত । চাইলে গুগল করে দেখতে পারেন ….
এই ঘটনার ৬৯ বছর পর ব্রিটিশ ও জার্মানরা যৌথভাবে ২০১১ সালে The Sinking of the Laconia নামে ২ পর্বের নাটক তৈরি করেন ।
Collected