- Fri Sep 06, 2019 3:28 pm#1662
আফগানিস্তানে তৃতীয় পরাশক্তির পরাজয় অত্যাসন্ন
ব্রিটেন ও সেভিয়েভ ইউনিয়নের পর আফগানিস্তানে তৃতীয় পরাশক্তির পরাজয় ঘটতে চলছে।
সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর আফগান-অভিজ্ঞতা দেশে বিদেশে বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি লিখেছিলেন, আমরা ভারতীয়রা পারিনি, অথচ আফগান-মোল্লারা ব্রিটিশদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। গত শতকের বিশের দশকে আফগানরা সূর্য-না-ডোবা পরাশক্তিকে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।
আফগানরা সোভিয়েত ইউনিয়নকেও তাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর আল-কায়েদাকে দায়ী করা হয়। আল-কায়েদা নেতা উসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে লুকিয়ে ছিলেন। তাকে শায়েস্তা করার জন্য আমেরিকা আফগানিস্তানে অভিযান চালায়। তালিবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে। নিজেদের বশংবদ সরকার প্রতিষ্ঠা করে। তারপর থেকে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। কিন্তু তালিবানকে নির্মূল করা তো দূরের কথা, তাদেরকে দুর্বলও করতে পারেনি। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ওই দেশের ৭০% এলাকা তালিবানের দখলে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করতে থাকেন আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না করার জন্য। তিনি আবার বেহুদা খরচ কমানোর জন্য আফগানিস্তান হতে সৈন্য প্রত্যাহার করতে চান। তবে তার দু’পূর্বসূরি (বুশ ও ওবামা) ইরাকে যে ভুল করেছিলেন, আফগানিস্তানে তিনি সে ভুল করলেন না। সাদ্দাম হোসেনকে হটানোর পর ইরাকের পূনর্গঠন আলোচনার সকল পর্যায়ে সাদ্দামের অনুসারীদেরকে বাদ দেয়া হয়, যা এক সময় সময় আইএস উত্থানের অনুষঙ্গ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ট্রাম্প উপলব্ধি করেন, ‘পরাজয়’- কালিমা এড়িয়ে আফগানিস্তান হতে সৈন্য প্রত্যাহারের একমাত্র উপায় হল তালিবানের সাথে আলোচনা। এজন্য পাকিস্তানকে প্রয়োজন। তাই ট্রাম্পের গলা পাল্টে গেল, দোহায় (প্রকৃতপক্ষে) ইসলামাবাদে তালিবান-আমেরিকা কয়েক দফা আলোচনা হল। শোনা যাচ্ছে অচিরেই একটা বন্দোবস্ত হবে, যাতে মার্কিনিরার সম্মানের সাথে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে পারে। কাগজে কলমে লেখা না থাকলেও এটি তাদের পরাজয়। যে তালিবানকে তারা ক্ষমতাচ্যুত করেছে, প্রায় দুই দশকের অবস্থানের পরও তাদেরকে নির্মূল করতে না পেরে তাদেরই সাথে আলোচনা করে আফগান্স্তিান ত্যাগ করা আমেরিকার জন্য পরাজয় ছাড়া আর কী?
অনতিভবিষ্যতে তালিবান যদি কখনো কাবুলের কর্তৃত্ব নেয়, আশা করা যায় আগেরবারের মত অবিমৃষ্যকারী কাজগুলো করবে না (যেমন বামিয়ানে বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংসের মত গর্হিত কাজ)। তাদের তো শিক্ষা কম হল না। সময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে শিক্ষা নিয়ে যারা কর্মনীতি-কৌশল পরিবর্তন করে না, তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
Zubair Ehsan Hoque স্যার।
সহযোগী অধ্যাপক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ব্রিটেন ও সেভিয়েভ ইউনিয়নের পর আফগানিস্তানে তৃতীয় পরাশক্তির পরাজয় ঘটতে চলছে।
সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর আফগান-অভিজ্ঞতা দেশে বিদেশে বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি লিখেছিলেন, আমরা ভারতীয়রা পারিনি, অথচ আফগান-মোল্লারা ব্রিটিশদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। গত শতকের বিশের দশকে আফগানরা সূর্য-না-ডোবা পরাশক্তিকে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।
আফগানরা সোভিয়েত ইউনিয়নকেও তাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর আল-কায়েদাকে দায়ী করা হয়। আল-কায়েদা নেতা উসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে লুকিয়ে ছিলেন। তাকে শায়েস্তা করার জন্য আমেরিকা আফগানিস্তানে অভিযান চালায়। তালিবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে। নিজেদের বশংবদ সরকার প্রতিষ্ঠা করে। তারপর থেকে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। কিন্তু তালিবানকে নির্মূল করা তো দূরের কথা, তাদেরকে দুর্বলও করতে পারেনি। ধারণা করা হয়, বর্তমানে ওই দেশের ৭০% এলাকা তালিবানের দখলে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করতে থাকেন আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না করার জন্য। তিনি আবার বেহুদা খরচ কমানোর জন্য আফগানিস্তান হতে সৈন্য প্রত্যাহার করতে চান। তবে তার দু’পূর্বসূরি (বুশ ও ওবামা) ইরাকে যে ভুল করেছিলেন, আফগানিস্তানে তিনি সে ভুল করলেন না। সাদ্দাম হোসেনকে হটানোর পর ইরাকের পূনর্গঠন আলোচনার সকল পর্যায়ে সাদ্দামের অনুসারীদেরকে বাদ দেয়া হয়, যা এক সময় সময় আইএস উত্থানের অনুষঙ্গ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ট্রাম্প উপলব্ধি করেন, ‘পরাজয়’- কালিমা এড়িয়ে আফগানিস্তান হতে সৈন্য প্রত্যাহারের একমাত্র উপায় হল তালিবানের সাথে আলোচনা। এজন্য পাকিস্তানকে প্রয়োজন। তাই ট্রাম্পের গলা পাল্টে গেল, দোহায় (প্রকৃতপক্ষে) ইসলামাবাদে তালিবান-আমেরিকা কয়েক দফা আলোচনা হল। শোনা যাচ্ছে অচিরেই একটা বন্দোবস্ত হবে, যাতে মার্কিনিরার সম্মানের সাথে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে পারে। কাগজে কলমে লেখা না থাকলেও এটি তাদের পরাজয়। যে তালিবানকে তারা ক্ষমতাচ্যুত করেছে, প্রায় দুই দশকের অবস্থানের পরও তাদেরকে নির্মূল করতে না পেরে তাদেরই সাথে আলোচনা করে আফগান্স্তিান ত্যাগ করা আমেরিকার জন্য পরাজয় ছাড়া আর কী?
অনতিভবিষ্যতে তালিবান যদি কখনো কাবুলের কর্তৃত্ব নেয়, আশা করা যায় আগেরবারের মত অবিমৃষ্যকারী কাজগুলো করবে না (যেমন বামিয়ানে বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংসের মত গর্হিত কাজ)। তাদের তো শিক্ষা কম হল না। সময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে শিক্ষা নিয়ে যারা কর্মনীতি-কৌশল পরিবর্তন করে না, তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
Zubair Ehsan Hoque স্যার।
সহযোগী অধ্যাপক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়