Get on Google Play

বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলদেশ ও বিশ্ব, দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি
#1659
ভিয়েতনাম যুদ্ধে শেষে সে দেশ থেকে আমেরিকায় প্রায় ৩,৩০০ অনাথ বাচ্চা যাদের বাবা-মা যুদ্ধে আমেরিকান সেনাদের দ্বারা নিহত হয়, তাদের বিমানে করে উড়িয়ে আনা হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সবগুলো বাচ্চা তাদের বেবিসিটে ঘুমিয়ে আছে। ধারণা করা হয় ফ্লাইটের আগে তাদের স্বল্প মাত্রায় ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয় যেন প্লেনে কান্নাকাটি না করে কারণ তাদের সামাল দেওয়ার মত অত এয়ার হোস্টেজ ছিলো না।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এটা আমেরিকানদের কেমন দ্বিচারিতা? বাচ্চাগুলো প্যারেন্টসদের মেরে তাদের আবার নিয়ে আসা হচ্ছে আমেরিকায় বড় হওয়ার জন্য!!! অন্যদিকে ভিয়েতনামে 'এজেন্ট অরেঞ্জ' ছিটানোর মতও অমানবিক কাজ করা হয়েছে যাতে বংশপরস্পরায় বিকলাঙ্গ বাচ্চা জন্মায়। কেন এমন উভমুখী নীতি?

ভিয়েতনাম যুদ্ধে স্রেফ আমেরিকান সেনাই মারা যায় ৬০ হাজার আর আহত হয় তিন লাখ যার মাঝে আহতদের ৩০% আবার পরে মারা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা অনেক ওয়েল ট্রেইনড সেনা হারায়। কোরীয় যুদ্ধে তা সংখ্যায় আরো বৃদ্ধি পায় যদিও সেখানে বিশেষত বিমান বাহিনী দিয়েই যুদ্ধ করে, সরাসরি ফ্রন্টে কম থাকে আমেরিকান সেনা। ভিয়েতনাম যুদ্ধ শুরু হলে দেখা যায় পূর্ণ বয়ষ্ক যোদ্ধা কমই আছে আর যা আছে তাও পাঠালে আমেরিকার নিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়বে কারণ স্নায়ুযুদ্ধের সময় বড় আকারের যুদ্ধে জন্য সর্বদাই পশ্চিমের আমেরিকা ও পূর্বের সোভিয়েত ব্লক প্রস্তুত থাকতো। সব কিছু ভেবেই ভিয়েতনামে পাঠানো হয় মাত্র ট্রেনিং সমাপ্ত করা সেনাদের যাদের অনেকেই যুদ্ধ শুরু হলে মিলিটারী প্রবেশ করে ভিয়েতনামের উদ্দেশ্যে। তাছাড়া আমেরিকানরা ভেবেছিলো কৃষক ভিয়েতনামীরা আর কতটুকুই বা প্রতিরোধ করতে পারবে যেখানে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের আছে সর্বাধুনিক অস্ত্র। কিন্তু যুদ্ধ ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ উলটে যায়। নতুন সার্ভিসে আসা এম-১৬ রাইফেলের মাত্রাছাড়া জ্যামিং আর সোভিয়েত একে-৪৭ রাইফেলের ভেল্কিবাজীতে কচুকাটা হয় আমেরিকান সেনারা। ভিয়েতনামীদের মাঝে যারা নিহত হয় তার অধিকাংশই নিরস্ত্র সিভিলিয়ান যাদের প্রতিরোধ করার মত কিছু ছিলো না।

আরেকটা ব্যাপার হয়তো জানেন, সরকার কখনোই হেরে যাওয়া যুদ্ধে মৃতের প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম প্রকাশ করে। শুধু যে ব্যাটল ফিল্ডে নিহত ও আহত সেনারা অন গ্রাউন্ডে ও হাসপাতালে মারা যায় তা না, অনেকে মানসিক বিকারগ্রস্থ হয় অল্প বয়সে অধিক সাইকোলজিক্যাল প্রেশারে।মারাও যায় বহু।

যুদ্ধের পরে দেখা যায় আমেরিকায় যুবক লোকের সংখ্যাই হ্রাস পেয়েছে ভয়াবহ মাত্রায়। যারা টিকে আছের তাদের অনেকরই ফিজিক্যাল ও মেন্টাল কারণে রিপ্রোডাকটিভ ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছে বা সুস্থ সামাজিক ভাবে বেঁচে থাকার মত অবস্থা নেই। তাছাড়া ১৯৩৭ সাল থেকেই আমেরিকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। ডিভি লটারী ও অন্যান্য মাইগ্রেশনের মাধ্যমে জনসংখ্যা স্বাভাবিক করা হয়। ১৯৭৫ সালে আমেরিকার জনসংখ্যা প্রায় ২৩ কোটি আর মধ্যবয়ষ্ক লোকের হার ২৯% যার বেশির ভাগই নারী। ফার্টিলিটি রেট ২.০৩% যা পূর্বের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এই সব কিছুই চিন্তা করে এই এতীম বাচ্চাদের নিয়ে আসা হয় আমেরিকায়।

আরেকটা কথা কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে। এই দত্তক নেওয়া বাচ্চা দিয়ে পরবর্তীতে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগানো পশ্চিমা বিশ্বের প্রাচীন নীতির মাঝে পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোল্ড ওয়্যারের সময় তীব্র আকার ধারণ করে। কারণ একটি টার্গেট সোসাইটিতে আপনাকে আস্থাভাজন হতে হলে তাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে হবে। এই সাদৃশ্যতা শুধু চেহারাতেই নয়, বরং ভাষা ও সংষ্কৃতিতেও।

Collected
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]