Get on Google Play

বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলদেশ ও বিশ্ব, দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলি
#183
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের চিত্র
-----------------------------------------
রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীর অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের এক নম্বরের দেশ।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রণীত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট 2015-2017,’তে রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীর অবস্থান বিবেচনায় এক নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। এদিক থেকে ইউরোপের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ জার্মানির অবস্থান 12তম আর বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান 64তম।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন নবম
এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অষ্টম।
জাতীয় সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান 67তম।
নারী-পুরুষের ব্যবধান কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এবারো দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার 25 শতাংশ কমিয়ে এনেছে। নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাপকাঠি ।
তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের 65 শতাংশই নারী শ্রমিক। বাকি 35 শতাংশ পুরুষ শ্রমিক। সব মিলিয়ে এ খাতে 40 লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে 26 লাখ নারী ও 14 লাখ পুরুষ।

দুই ধাপ এগিয়েছে নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন:
জেনেভাভিত্তিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম প্রকাশিত ‘বিশ্ব লিঙ্গ বৈষম্য প্রতিবেদন 2016’-তে বলা হয়, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়ন-এই চার মাপকাঠির ভিত্তিতে প্রতিবছর এ সূচক প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ করে এগিয়েছে নারীর শিক্ষা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে।
শিক্ষায় অংশগ্রহণে এবার বাংলাদেশের অবস্থান 109তম, স্কোর 0.984। গত বছরেরর মতো এবারও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে উচ্চ শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে গতবছরের 118তম অবস্থান থেকে পিছিয়ে এসেছে 119তম অবস্থানে।
রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে গতবারের দশম থেকে এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এবার অষ্টম; স্কোর 0.443।

কমেছে মজুরি বৈষম্য:গত দুই বছর ধরে দেশে নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য 10 শতাংশ হারে কমছে।
বিবিএসের সর্বশেষ 2010 সালের শ্রমশক্তি জরিপে দেখা গেছে, দেশে কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমশক্তির সংখ্যা 2 কোটি 56 লাখ। এর মধ্যে নারী প্রায় 1 কোটি 5 লাখ। এক দশক আগেও নারীদের এ সংখ্যা ছিল 38 লাখ। অর্থাৎ 10 বছরের ব্যবধানে কৃষিকাজে যুক্ত হয়েছেন 67 লাখ নারী।

মৃত্যুহার কমেছে নারীদের:স্বাস্থ্যখাতেও নারীর উন্নয়ন হয়েছে। দেশে এখন মাতৃ-মৃত্যুর হার 66 শতাংশ কমে এসেছে। প্রতিলাখে 143 জনের বেশি নয়, এমন লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, 2030 সালের মধ্যে এ সংখ্যা 63’র ঘরে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

রাজনীতি, প্রশাসন ও নিরাপত্তায় নারী:রাজনীতি প্রশাসন ও নিরাপত্তায় নারীর অংশগ্রহণ অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন সর্বাধিক। আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদ এবং এর আগে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট আমলের একটি হিসাব বলছে, 20 শতাংশ সংসদ সদস্য (এমপি) নারী। দেশব্যাপী এখন 12 হাজার নির্বাচিত নারী প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের নেতা, জাতীয় সংসদ স্পিকার, সংসদ উপনেতা সবাই নারী।
শিক্ষায় পেয়েছে ভিন্নমাত্রা:শিক্ষায় নারীদের উন্নয়ন এক ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। শিক্ষা নীতির পাশাপাশি নিশ্চিত হয়েছে 6 থেকে 10 বছর বয়সী প্রায় শতভাগ মেয়ে শিশুর শিক্ষা প্রাপ্যতার হার। কমেছে উচ্চ শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার। নারী শিক্ষার প্রসারে দেওয়া হচ্ছে বৃত্তি এবং অর্থ সহায়তা। 1991 সালে প্রাথমিকে মেয়েদের অংশগ্রহণ 60 দশমিক 05 শতাংশ থাকলেও এখন প্রায় 98 শতাংশ। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত নারী শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।

জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি–2021 বাস্তবায়নে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি নারী উন্নয়নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। হতদরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তাদের ভাতা কর্মসূচি। শহরাঞ্চলে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিত্তহীন নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভিজিডি কর্মসূচি, দারিদ্র্য বিমোচন ঋণ কর্মসূচি। নারীদের কৃষি, সেলাই, ব্লক-বাটিক, হস্তশিল্প, বিউটিফিকেশন, কম্পিউটার ও বিভিন্ন আয়বর্ধক বিষয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থন সৃষ্টি, শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ও বিনা জামানতে ঋণ সহায়তা, পৃষ্ঠপোষকতার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নানা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এছাড়া নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ, নারীর মানবাধিকার ও সংবিধান, নারী ও আইন, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-2010, নারী মানবসম্পদ, নারী উন্নয়নে সাংগঠনিক ও প্রতিষ্ঠানিক উত্তরণ, জায়গা-জমিতে ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-2011 অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছে।

বিশেষ করে বর্তমান সরকারের নেওয়া নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেও উন্নতির ধারা উপরের দিকে। আরও রয়েছে- পারিবারিক, সামাজিক ও নানামুখী সহিংসতা মোকাবিলায় আইন, কেন্দ্রীয় সেল, ডিএনএ ল্যাব প্রতিষ্ঠা, নারীপাচার রোধ, সাত বিভাগে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নজরদারি, কাউন্সিলিংয়ে হেল্প লাইন ইত্যাদি।

বাল্যবিয়ে রোধেও সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। 1984 সালে 52 শতাংশ মেয়েশিশু বাল্য বিয়ের শিকার ছিল। এখন (2017 সালের হিসাব) এ হার কমে 14 শতাংশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার- এ সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে 2040 সালের মধ্যে।
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    558 Views
    by rafique
    0 Replies 
    1237 Views
    by rafique
    long long title how many chars? lets see 123 ok more? yes 60

    We have created lots of YouTube videos just so you can achieve [...]

    Another post test yes yes yes or no, maybe ni? :-/

    The best flat phpBB theme around. Period. Fine craftmanship and [...]

    Do you need a super MOD? Well here it is. chew on this

    All you need is right here. Content tag, SEO, listing, Pizza and spaghetti [...]

    Lasagna on me this time ok? I got plenty of cash

    this should be fantastic. but what about links,images, bbcodes etc etc? [...]