Get on Google Play

বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
#1223
ক) ব্যাকরণ অংশে ১৫টি প্রশ্ন এবং সাহিত্য অংশে ২০টি প্রশ্নসহ মোট ৩৫ নম্বর বাংলার জন্য বরাদ্দ। এখানে একটা কথা বলা জরুরি, ১৫-এর জায়গায় ১৬ এবং ২০-এর জায়গায় ১৯ও হতে পারে। তবে ৩৫ ঠিকই থাকবে। আর একটা কথা মনে রাখবেন, পিএসসি প্রদত্ত সিলেবাস অনুযায়ী অনেক সময় সব প্রশ্ন না-ও হতে পারে। যেমন কারক সিলেবাসে নেই, কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে। এলে তো আর বলতে পারবেন না, এর উত্তর দেব কেন? পারব না। সুতরাং প্রস্তুতি যেহেতু নেবেন, ভালো করেই নেবেন।

খ) বাংলা ব্যাকরণ কিছুটা কঠিন ধাঁচের। সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসরণে রচিত। এর মধ্যে আপনি কিছু নিয়ম বুঝবেন, সহজে মনেও রাখতে পারবেন। আবার কিছু নিয়ম আপনি বুঝবেন না। যা বুঝবেন না, যে পর্যন্ত পারেন মুখস্থ করে ফেলবেন। সব সময় বোঝা যাবে না এটাই স্বাভাবিক। মুখস্থ বিদ্যাও একটা বিরাট সম্পদ।

গ) ব্যাকরণের জন্য আপনি যে বইটা খুব ভালো করে পড়বেন, তা হলো নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইটা। বিশেষ করে নানা নিয়মের উদাহরণগুলো ভালো করে দেখবেন! সঙ্গে একটা এমসিকিউ বাংলা গাইডও রাখতে পারেন। বিগত বছরে আসা প্রশ্ন দেখতে সাহায্য করবে এটি!

ঘ) কয়েকটা বিষয় খুব ভালো করে পড়বেন। যথা সন্ধি, উপসর্গ, সমাস, নত্ব-বিধান ও ষত্ব- বিধান, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, প্রত্যয়, ধ্বনি পরিবর্তন ইত্যাদি।

ঙ) ব্যাকরণ নিয়ে বিখ্যাত যেসব গ্রন্থ রচিত হয়েছে, তা অবশ্যই পড়ে যাবেন!

চ) শুদ্ধীকরণ অংশে শব্দের বিশেষ অর্থে প্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, লিঙ্গের অপপ্রয়োগ, সন্ধি ও সমাসের অপপ্রয়োগ খুব ভালো করে পড়বেন! কঠিন বানানসমূহ বারবার লিখবেন। এতে সহজে মনে থাকবে!

ছ) পরিভাষা থেকে প্রতিবছর প্রশ্ন আসে। তাই এতে জোর দিতে হবে! যেগুলো একটু বিদঘুটে তা ভালো করে পড়ুন!

জ) নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি, নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি, বিশেষ নিয়মে সাধিত ব্যঞ্জনসন্ধি, নিপাতনে সিদ্ধ বিসর্গ সন্ধি একটু দেখে যাবেন! মোটকথা, যত বিশেষ নিয়ম আছে সবই গুরুত্বপূর্ণ!

ঝ) ব্যাকরণের কোনো অধ্যায় যদি কারও খুব বেশি কঠিন লাগে, তবে এড়িয়ে যান!

ঞ) যুক্তবর্ণ যেগুলো একটু প্যাঁচানো তা পড়বেন। এ রকম ২০টির মতো আছে!

ট) বিদেশি শব্দের মধ্যে আরবি, ফারসি, পর্তুগিজ, তুর্কি, ফরাসি ও মিশ্র শব্দসমূহ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন! আশা করি কমন পেয়ে যাবেন।

ঠ) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ও বিবর্তন এবং এর যুগ বিভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ!

ড) প্রাচীন যুগে চর্যাপদ বৃত্তান্ত, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অবদানগুলো পড়তে হবে!

ঢ) মধ্যযুগে মঙ্গলকাব্য, মুসলিম সাহিত্য ও অনুবাদ সাহিত্য জোর দিয়ে পড়তে হবে! এর সঙ্গে যুগসন্ধিক্ষণ ও ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে!

ণ) আধুনিক যুগের জন্য ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, উইলিয়াম কেরিসহ অন্যদের কমপক্ষে গ্রন্থগুলোর নাম জানতে হবে!

ত) আধুনিক যুগে সাহিত্যিকদের পর্যায় বা ক্রম অনুযায়ী পড়ার দরকার নেই। গুরুত্ব অনুযায়ী পড়বেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক হলেন ঈশ্বরচন্দ্র, রাজা রামমোহন, বঙ্কিমচন্দ্র, মাইকেল মধুসূদন, মীর মশাররফ, রবিঠাকুর, কাজী নজরুল, জসীমউদ্‌দীন, রোকেয়া, ফর্‌রুখ আহমদ, কায়কোবাদ, শরৎচন্দ্র, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহসান হাবীব, জীবনানন্দ দাশ, জহির রায়হান, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারীলাল চক্রবর্তী, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনীর চৌধুরী, শওকত ওসমান, শামসুর রাহমান, সুফিয়া কামাল, সমর সেন, সৈয়দ শামসুল হক! এই ২৫ জনকে আগে ভালো করে জানুন!

থ) ড. সৌমিত্র শেখরের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বইটি পড়তে পারেন। বিগত প্রশ্নের আলোকে কিছু সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ প্রশ্নও পড়বেন।

দ) প্রগতিশীল লেখকেরা একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আহমদ ছফা, হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফ, বদরুদ্দিন ওমর, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাহানারা ইমাম, শাহরিয়ার কবির, আরজ আলী মাতুব্বর, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা ইত্যাদি।

ধ) যেসব গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও উপন্যাস কখনো পাঠ্যবইয়ে ছিল বা আছে তা ভালো করে দেখবেন! এর চরিত্র, কাহিনি ও কঠিন শব্দের অর্থগুলো আয়ত্ব করে নেবেন!

ন) সাহিত্যবিষয়ক সংগঠন যেমন বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, মুসলিম সাহিত্য সমাজ, হিন্দু কলেজ ও ইয়ংবেঙ্গল, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি, সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম, উপাধি, বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনি পড়বেন!

প) সাহিত্য অঙ্গনে কিছু উক্তি আছে, যা বেশ নাম করেছে। এসব কোনটা কার একটু আয়ত্ত করে নেবেন!

ফ) কিছু পত্র-পত্রিকা সম্পর্কেও জানতে হবে! গুরুত্বপূর্ণ কিছু পত্রিকা হলো বেঙ্গল গেজেট, দিকদর্শন, সমাচার দর্পণ, সমাচার সভারাজেন্দ্র, সবুজপত্র, মোসলেম ভারত, কল্লোল, সমকাল, বেগম, নবযুগ, হিতকরী, সওগাত ইত্যাদি! সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রকাশকাল জেনে নেবেন!

ব) মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনভিত্তিক গল্প, কবিতা, গান, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও নাটক পড়তে হবে কিছু। এর চরিত্রগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।

ভ) বাংলা সাহিত্যে যা কিছু প্রথম, তার তালিকাটা মনে রাখতে হবে। যেমন প্রথম উপন্যাস কোনটি?

ম) সাম্প্রতিক কালে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ লেখকের লেখা প্রকাশিত হয়, তার নাম জানার চেষ্টা করবেন। আধুনিক যুগ বলতে আজকের দিন পর্যন্ত সময়কে বোঝায়। তাই চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। খ্যাতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লেখাও জেনে যাবেন। যে গ্রন্থগুলো সম্প্রতি কোনো পুরস্কার পেল বা পাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। পারলে ওই লেখক সম্পর্কেও জানবেন। আর তাতেই আসবে সফলতা!
=====================================
লিখেছেনঃ শাহ মো. সজীব
প্রশাসন ক্যাডার (দ্বিতীয় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।
সূত্রঃদৈনিক প্রথম আলো
    Similar Topics
    TopicsStatisticsLast post
    0 Replies 
    215 Views
    by mousumi
    0 Replies 
    1856 Views
    by romen
    0 Replies 
    542 Views
    by rafique
    0 Replies 
    438 Views
    by sajib
    0 Replies 
    274 Views
    by kajol

    Thanks for the information.

    Achieving the best SEO (Search Engine Optimization[…]

    Creating a website easily on WordPress is a popula[…]

    Creating a website on BigCommerce offers a seamles[…]